ফিলিস্তিনিদের প্রিয় খাবার ‘মুসাখখান’, জেনে নিন রেসিপি

ছবি সংগৃহীত

 

লাইফস্টাইল ডেস্ক : রমজানে ঐতিহ্যবাহী ও মুখরোচক খাবার খেতে পছন্দ করে মুসলিমরা। প্রত্যেক অঞ্চলের মুসলমান রমজান মাসে সাহরি ও ইফতারে নিজেদের পছন্দের খাবার খায়। মুসাখখান তেমনই একটি জনপ্রিয় খাবার। ফিলিস্তিনের মুসলিমরা রমজান মাসে মুসাখখান খেতে পছন্দ করে।

 

মুসাখখানের প্রচলন ঘটেছিল ফিলিস্তিনের উত্তরাঞ্চলীয় শহর তুলকার্ম ও জেনিন অঞ্চলে। তবে এখন এই জনপ্রিয় খাবারকে ফিলিস্তিনের জাতীয় খাবার মনে করা হয়। ফিলিস্তিনের পাশাপাশি ইসরায়েলের আরব জনগোষ্ঠী ও জর্দানের মুসলিমদের মধ্যেও তা সমান জনপ্রিয়। সিরিয়া ও লেবাননের মানুষও এই খাবারের সঙ্গে পরিচিত।

আরবি মুসাখখানের অর্থ গরম। এর প্রতিশব্দ মুহাম্মার। মুসাখখান মূলত মুরগির মাংস দিয়ে তৈরি বিশেষ খাবার, যা ভাজা মুরগির সঙ্গে পেঁয়াজ, সুমাক, জাফরান, ভাজা পাইন বাদমসহ অন্যান্য মসলার যোগে তৈরি হয়। এটি তন্দুরি রুটির সঙ্গে পেশ করা হয়।

 

মুসাখখানের নামকরণ হয়েছে ফিলিস্তিন অঞ্চলের প্রাচীন একটি ঐতিহ্য অনুসারে। তাহলো এই অঞ্চলের কৃষকরা তাবুন (তন্দুরি) রুটি ঠাণ্ডা হলে গেলে তা আবার গরম করে খেত এবং রুটির স্বাদ বৃদ্ধির জন্য সঙ্গে মাংস যোগ করত।

 

ফিলিস্তিনে মুসাখখান জনপ্রিয় হওয়ার কারণ হলো এর উপাদানগুলো সহজলভ্য হওয়া। মুসাখখানে ব্যবহৃত মুরগি, অলিভ অয়েল, সুমাক ও পাইন বাদাম ফিলিস্তিনিদের প্রতিদিনের খাবার তালিকার অংশ। মুসাখখান পুরোপুরি হাতে প্রস্তুত করা হয় এবং তা সাধারণত তন্দুরি রুটি ও স্যুপের সঙ্গে পরিবেশন করা হয়।

 

২০ এপ্রিল ২০১০ রামাল্লায় মুসাখখান তৈরির একটি বৃহৎ আয়োজন করা হয়, যা গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান পেয়েছে। এই আয়োজনে প্রস্তুত মুসাখখান রুটির ব্যাস ছিল চার মিটার এবং ওজন ছিল এক হাজার ৩৫০ কেজি। এতে ৪০ জন ফিলিস্তিনি রাধুনি অংশগ্রহণ করেছিল। বৃহৎ এই মুসাখখান তৈরিতে ১৭০ কেজি জলপাই তেল, ২৫০ কেজি ময়দা, ৫০০ কেজি পেঁয়াজ এবং ৭০ কেজি বাদাম ব্যবহার করা হয়েছিল।

সূত্র : প্যালেস্টাইনিয়ান ডিস ডটকম, হ্যান্ডমেইড প্যালেস্টাইন ডটকম।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালালেও ভারতে গিয়ে শয়তানি করছেন: মির্জা ফখরুল

» খালের মধ্যে কুমিরটা ১৭ বছর যন্ত্রণা দিয়ে দিল্লিতে পালিয়ে আছে: গয়েশ্বর

» ‘দেশের মানুষ খালেদা জিয়াকে নিরাপত্তা দিয়েছে, তারেক রহমানকেও দিতে পারবে’: হান্নান মাসউদ

» বিএনপি জাতীয় পার্টির দায়িত্ব নেবে কেন, আপনারা কারা?: জাপা মহাসচিবকে রিজভী

» নুরের সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

» প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাত রাজনৈতিক দলের বৈঠক অনুষ্ঠিত

» ভবিষ্যতে সরকারপ্রধানের মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত : ফারুকী

» ব্র্যাক ব্যাংকের নতুন ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হলেন তারেক রেফাত উল্লাহ খান

» ইউসিবিডিতে মোনাশ ফাউন্ডেশন ২০২৫ প্রোগ্রামের তৃতীয় ব্যাচের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত

» পুলিশ বাহিনীতে গড়ে উঠেছিল ২ গ্রুপ, নেতৃত্বে ছিলেন হাবিব-মনির

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

ফিলিস্তিনিদের প্রিয় খাবার ‘মুসাখখান’, জেনে নিন রেসিপি

ছবি সংগৃহীত

 

লাইফস্টাইল ডেস্ক : রমজানে ঐতিহ্যবাহী ও মুখরোচক খাবার খেতে পছন্দ করে মুসলিমরা। প্রত্যেক অঞ্চলের মুসলমান রমজান মাসে সাহরি ও ইফতারে নিজেদের পছন্দের খাবার খায়। মুসাখখান তেমনই একটি জনপ্রিয় খাবার। ফিলিস্তিনের মুসলিমরা রমজান মাসে মুসাখখান খেতে পছন্দ করে।

 

মুসাখখানের প্রচলন ঘটেছিল ফিলিস্তিনের উত্তরাঞ্চলীয় শহর তুলকার্ম ও জেনিন অঞ্চলে। তবে এখন এই জনপ্রিয় খাবারকে ফিলিস্তিনের জাতীয় খাবার মনে করা হয়। ফিলিস্তিনের পাশাপাশি ইসরায়েলের আরব জনগোষ্ঠী ও জর্দানের মুসলিমদের মধ্যেও তা সমান জনপ্রিয়। সিরিয়া ও লেবাননের মানুষও এই খাবারের সঙ্গে পরিচিত।

আরবি মুসাখখানের অর্থ গরম। এর প্রতিশব্দ মুহাম্মার। মুসাখখান মূলত মুরগির মাংস দিয়ে তৈরি বিশেষ খাবার, যা ভাজা মুরগির সঙ্গে পেঁয়াজ, সুমাক, জাফরান, ভাজা পাইন বাদমসহ অন্যান্য মসলার যোগে তৈরি হয়। এটি তন্দুরি রুটির সঙ্গে পেশ করা হয়।

 

মুসাখখানের নামকরণ হয়েছে ফিলিস্তিন অঞ্চলের প্রাচীন একটি ঐতিহ্য অনুসারে। তাহলো এই অঞ্চলের কৃষকরা তাবুন (তন্দুরি) রুটি ঠাণ্ডা হলে গেলে তা আবার গরম করে খেত এবং রুটির স্বাদ বৃদ্ধির জন্য সঙ্গে মাংস যোগ করত।

 

ফিলিস্তিনে মুসাখখান জনপ্রিয় হওয়ার কারণ হলো এর উপাদানগুলো সহজলভ্য হওয়া। মুসাখখানে ব্যবহৃত মুরগি, অলিভ অয়েল, সুমাক ও পাইন বাদাম ফিলিস্তিনিদের প্রতিদিনের খাবার তালিকার অংশ। মুসাখখান পুরোপুরি হাতে প্রস্তুত করা হয় এবং তা সাধারণত তন্দুরি রুটি ও স্যুপের সঙ্গে পরিবেশন করা হয়।

 

২০ এপ্রিল ২০১০ রামাল্লায় মুসাখখান তৈরির একটি বৃহৎ আয়োজন করা হয়, যা গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান পেয়েছে। এই আয়োজনে প্রস্তুত মুসাখখান রুটির ব্যাস ছিল চার মিটার এবং ওজন ছিল এক হাজার ৩৫০ কেজি। এতে ৪০ জন ফিলিস্তিনি রাধুনি অংশগ্রহণ করেছিল। বৃহৎ এই মুসাখখান তৈরিতে ১৭০ কেজি জলপাই তেল, ২৫০ কেজি ময়দা, ৫০০ কেজি পেঁয়াজ এবং ৭০ কেজি বাদাম ব্যবহার করা হয়েছিল।

সূত্র : প্যালেস্টাইনিয়ান ডিস ডটকম, হ্যান্ডমেইড প্যালেস্টাইন ডটকম।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com